সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ফসলরক্ষা রেড়িবাঁধ কেটে পানি শুকিয়ে হাওরের মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে বোরো চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিতায় পড়েছেন কৃষকরা।
বুধবার স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের কৃষকরা জানিয়েছেন, বোরো চাষাবাদের এখনই সময়। প্রভাবশালী একটি মহল মাছ ধরার বাঁধ কেটে হাওরের পানি শুকিয়ে ফেলায় ক্ষেতে আবাদ করা যাচ্ছে না । প্রশাসনিকভাবে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলেও বোরো চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হবে কৃষকরা।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধবপুর গ্রামের এখলাছুর রহমান ও হাবিজুর রহমান নামের দুই ব্যক্তি মইয়ার হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ কেটে পাটনার হাওরের পানি শুকিয়ে মাছ ধরছেন। ফলে বোরো ফসল চাষাবাদের শুরুই কৃষকরা পানি সংকটে পড়েছেন।
গন্ধবপুর গ্রামের কৃষক মোবশ্বির আলী জগন্নাথপুর নিউজ ডটককে বলেন, মাছ ধরার জন্য গ্রামের প্রভাবশালী এখলাছুুর রহমান মইয়ার হাওরের একটি ফসলরক্ষা রেড়িবাঁধ কেটে দেয়। তিনি জানান, ওই বাঁধের নীচে একটি কালভার্ট রয়েছে। বাঁধ কেটে কালভার্টের পানি নিস্কাশনের প্রবেশপথ উন্মুক্ত করে দেয়ায় হাওরের সব পানি পাশের কাটা নদীতে গিয়ে পড়ছে। ফলে হাওরে বোরো চাষাবাদের জন্য পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
একই গ্রামের বর্গাচাষি কৃষক ফরাস মিয়া জগন্নাথপুর নিউজ ডটকমকে বলেন, গন্ধবপুর গ্রামের শতাধিক কৃষক স্থানীয় পাটনার হাওরে বোরো আবাদ করে আসছেন। এর মধ্যে বেশিভাগ কৃষকই বর্গাচাষি। তিনি বলেন, ওই হাওরে কৃষকদের ৭০০ কেদার বোরো জমি চাষাবাদ হয়। পানি শুকিয়ে মাছ ধরার কারনে কৃষকদের বোরো চাষাবাদ বিঘিœত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরেক কৃষক আচর মিয়া জগন্নাথপুর নিউজ ডটকম কে বলেন, হাওরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় চাষাবাদ করতে পারছিনা। জমিনের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বন জমে আছে ক্ষেতে। খুবই চিন্তায় পড়েছি আবাদ নিয়ে।
অভিযুক্ত গন্ধবপুর গ্রামের এখলাছুর রহমান জগন্নাথপুর নিউজ ডটকমকে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা বাঁধ কেটে পানি শুকিয়ে মাছ ধরছি না।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম জগন্নাথপুর নিউজ ডটকমকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply